সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও :: কক্সবাজার প্রতিনিধি, কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওয়ে জনগনের অধিক নির্ভরশীলতাকে পুঁজি করে সিএনজি চালকরা রীতিমত যাত্রীদের হয়রানী করছে। যথাযথ মনিটরিং এর অভাবে দিন দিন বেড়েই যাচেছ সিএনজি ড্রাইভারদের অত্যাচার। সাধারন যাত্রীরা জানায় ঘর থেকে বের হলে লাগে সিএনজি। সিএনজি ছাড়া মধ্যবিত্ত কিংবা নিম্নবিত্ত শ্রেণী কোন কিছুই চিন্তা করতে পারেনা। এসব সিএনজিতে চলাচলের জন্য সাধারণ জনগণ যেমন স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে তেমনি ঘর থেকে বের হলেই লাগে সিএনজি। অপরদিকে বেপরোয়া চলাচলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকারও হয় যাত্রীরা।
জানতে চাইলে ঈদগাঁওর হেলাল নামের এক সিএনজি ড্রাইভার বলেন, আইন মানার পরও হাইওয়ে পুলিশ মামলা দেয়। ভাড়া-লাইন খরচ বেশী তাই ভাড়াও বেশী নিতে হচ্ছে।
ইষলামপুরের জয়নাল নামের আরেক সিএনজি ড্রাইভার বলেন, আইন মানিনা কারণ হাইওয়ে পুলিশের কোন আইন নাই, এমনকি সিগন্যাল দিলে ৫শ টাকা দিয়ে গাড়ী ছেড়ে দেয়। অন্যদিকে ভাড়া বেশী নেওয়ার কারণ হিসাবে বলেন কোম্পানীকে দিতে হয় ৫শ টাকা, লাইন নিজের খরচ আছে সব মিলে খরচ বেশী।
জালালাবাদ সড়কের ড্রাইভার হোছন বলেন, আইন কিভাবে মানি যারা আইনের রক্ষক তারাতো আইন মানেনা। লাইসেন্স না থাকলে বলে টাকা দেয় নইলে মামলা। কম্পিউটার মাধ্যমে মামলা নেয়ার নিয়ম থাকলেও হাইওয়ে পুলিশ স্লিপ মামলা দেয় টাকা বেশী নেওয়ার জন্য। ফলে যাত্রীদের কাছ থেকে বেশী ভাড়া নিতে হয়।
স্থানীয় যাত্রীরা বলেন, সিএনজি আইন মানেনা। ১০০ টাকার ভাড়া দেড়শ টাকা দাবী করে। এমনকি ভাড়া কমাতে বললে যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। অনেক সময় যাত্রীদের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। প্রকৃতপক্ষে ঈদগাঁওর সড়ক-উপসড়কে সিএনজি চালকরা কোন আইন মানে না। যার কারনে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। প্রশাসনের কাছে তারা সিএনজি চালকদের অরাজকতা থেকে যাত্রীদের রক্ষা করার দাবী জানান।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলেন, সিএনজি ড্রাইভাররা যখন গাড়ী চালায় তারা নিজেদেরকে রাজা মনে করে, গাড়ী চালানোর সময় রাজার মত গাড়ী চালায়। ডানে কি বামে কি এটা তারা দেখেনা। এটা তাদের অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। আইন অমাইন্যকারী ড্রাইভারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানান।
অন্যদিকে যাত্রীরা তাদেরকে দ্রুত চলতে বাধ্য করে, সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে অনেক সময় স্পীড ওভার লিমিট ক্রস করে। ফলে বাড়তি ভাড়া দাবি করে। প্রশাসনের পাশাপাশি যাত্রীরা সচতেন হলে হয়ত সিএনজি নৈরাজ্য কিছুটা কমবে।
বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকরা বলেন, সিএনজি ড্রাইভাররা আইন মানেনা, যখন সিএনজি চালায় তারা বেপরোয়া গাড়ী চালায়। কিছু বললে বিশেষ ক্ষেত্রে নাজেহাল করে এমনকি খারাপ আচরন করেন। পাশাপাশি অতিরিক্ত ভাড়াও আদায় করেন।
এব্যাপারে জানতে চাইলে মালুমঘাট হাইওয়ে ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, মালুমঘাট-ডুলাহাজারা-খুটাখালী-ইসলামপুর-ঈদগাঁওয়ে প্রায় ৫ শতাধিক সিএনজি রয়েছে। তৎমধ্যে কিছু প্রাইভেট গাড়ী আছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি চরম আকার ধারন করেছে। সবাইকে মহাসড়কে চালানোর ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। কিছু সংখ্যক আছে আইন মানেনা। আইন না মানার লোক অবশ্যই আছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত মামলা দিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। চেষ্টা করছি মালিক-শ্রমিকদের নিয়ে আইন মেনে চলে এবং যথাযত ভাড়ায় গাড়ী চালাতে পারে। এই জন্য ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আগামীতে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করা হবে।
পাঠকের মতামত: